অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল হচ্ছে শিক্ষার উন্নয়ন: ড. খলীকুজ্জমান

দৈনিক জনকন্ঠ, অন্য খবরঃ আগস্ট ০৩, ২০১৮

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণমানুষের কণ্ঠস্বর : বাংলাদেশে ২০৩০ টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন জোরদারকরণ প্লাটফর্ম ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-৪ : গুণগত শিক্ষা’ শীর্ষক এই কর্মশালার আয়োজন করে। এতে শিক্ষা ক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে শিক্ষা আইন প্রণয়ন জরুরী বলে সকলে মত দেন। পিকেএসএফের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন পিকেএসএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আবদুল করিম এবং সূচনা বক্তব্য দেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী।

কর্মশালার সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন।

তিনি বলেন, শিক্ষার সুফল সমানভাবে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে এবং এটা তখনই সম্ভব যখন স্থানীয় কমিউনিটি এর সঙ্গে যুক্ত হবে। শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক উন্নয়ন হয়েছে মন্তব্য করে ড. আহমদ বলেন, টেকসই উন্নয়ন অর্জনের অন্যতম পূর্বশর্ত হলো শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন এবং এর জন্য সকল স্তরের অংশগ্রহণ ও সরকারের সার্বিক সহায়তা প্রয়োজন।

এর আগে স্বাগত বক্তব্যে মোঃ আবদুল করিম শিক্ষা ক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়ন সাধনের জন্য সরকারের নেয়া নানা উদ্যোগের কথা বলেন। তিনি বলেন, সরকার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পিকেএসএফ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে সহায়ক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সমৃদ্ধি কর্মসূচী। এই কর্মসূচীভুক্ত ইউনিয়নসমূহে শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রম চলমান আছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাড়ির পড়া শিখিয়ে দেয়ার মাধ্যমে বিদ্যালয় হতে ঝরে পড়ার হার উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, দেশে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় নীতি আছে, তবে বাস্তবায়ন আরও জোরালো করতে হবে। এজন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরী। মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বর্তমানে অনেক স্বচ্ছ ও মানসম্মত। শিক্ষকদের দেশে-বিদেশে উন্নত প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে শিক্ষার ঢালাও বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষা ক্ষেত্রে যথাযথ অর্থায়ন এবং তার সঠিক ব্যবহার সুনিশ্চিত করতে হবে। সমতা ও বৈষম্যহীন শিক্ষা ব্যবস্থা পেতে শিক্ষা আইন বর্তমানে জরুরী বলে তিনি মন্তব্য করেন। কর্মশালায় আলোচক হিসেবে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গবর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের (জিআইইউ) মহাপরিচাল মোঃ আবদুল হালিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারিক আহসান। এছাড়াও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা, পিকেএসএফের উর্ধতন কর্মকর্তা ও এর সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

Web Source:

About the author